বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯

স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া বা চুলকানি হলে কী করবেন? - এআরএইচ

স্ক্যাবিস বা খোসর্পাঁচড়া বা চুলকানি হলে কী করবেন? 
প্রথমেই জেনে নেই স্ক্যাবিস কী? স্ক্যাবিস হলো একপ্রকার চর্মজনিত রোগ। যা একটি জীবাণু আক্রমণ করে। জীবাণুটির নাম Sarcoptes scabei ‍।  এই জীবাণু মানুষের শরীরে আক্রমণ করলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হয় এবং র‌্যাশ উঠতে দেখা যায়।

স্ক্যাবিস এর লক্ষণ: 
স্ক্যাবিস এর প্রধান লক্ষণ চুলকানি ।সাধারণত হাতের আঙ্গুলের ফাকে, বগলে, ত্বকের ভাঁজে, পায়ে আবার অনেকের পেনিসেও হয়। এই চুলকানি সাধারণত দিনে কম থাকে এবং রাতের বেলা প্রচুর চুলকায়। স্ক্যাবিসের আরেকটি লক্ষণ চুলকালে মজা লাগে। চুলকানির সাথে সাথে শরীরে র‌্যাশ দেখা যায়।

চিকিৎসা: 
স্ক্যাবিসের চিকিৎসা দুইভাবে করা যায় 
১.ঘরোয়া ভাবে।
২.এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করে।

১. ঘরোয়া ভাবে।
স্ক্যাবিসের জন্য দারুণভাবে কাজ করে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ।
স্ক্যাবিস হলে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে শরীরে মাখতে হবে  এবং পরে গোসল করতে হবে। এছাড়ও নিমপাতা বেটে সেগুলো গোলকরে রোদ্রে শুকিয়ে প্রতিদিন খেলেও বেশ উপকার পাওয়া যায় এবং নিয়মিত করলে কয়েকদিনের মধ্যেই স্ক্যাবিস শেষ হয়ে যায়।

২. এলোপ্যাথিক :
এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করেও স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মারমিথ্রিন বিপি ৫% এবং ক্রোটামিন বিপি ১০% লোশন ব্যাবহার করতে হবে। যার বাজার নাম ইলিমেট প্লাস লোশন। এটি রাতে ব্যবহার করতে হবে। 

ব্যবহারের নিয়ম: যেহেতু স্ক্যাবিস ছোয়াছে রোগ তাই এটি পরিবারে সকলের ব্যবহার করা উচিত। যাতে করে ভবিষতে আর ফিরে না আসতে পারে । ইলিমেট প্লাস লোশন রাতে এবং সারা শরীরে ব্যবহার করতে হবে। শুধুমাত্র মাথা ও মুখমন্ডল ছাড়া গলা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত এটি মাখতে হবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ব্যবহারেব পর পানি দিয়ে ধুয়ে না যায় । ব্যবহারের পর ১০-১২ ঘন্টা পর গোসল করতে হবে। বেশি হলে ৭ দিন পর আবার  একই নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। 

আর ব্যবহৃত সকল পোশাক , বিছানার চাদর ইত্যাদি কমপক্ষে ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ধুতে হবে।

এছাড়াও ঔষধ হিসেবে এলাট্রল ১০ এমজি বা ফেক্স ১২০ এমজি গ্রহণ করা যেতে পারে । তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে গ্রহণ করা উচিত।

স্ক্যাবিস প্রতিরোধের উপায়: সাধারণ নোংরা পরিবেশে থাকলে এটি বেশি হয়। তাই পরিষ্কার পরিবেশে এবং নিজে সব সময় পরিচ্ছন্ন থাকলেই এটি এড়ানো সম্ভব।