বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

আলেমের মর্যাদা নিয়ে হাদিস - এআরএইচ



১. হাদীস:


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
"مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا، سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ"
— صحيح مسلم: 2699

বাংলা অনুবাদ:
“যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ ধরে চলে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।”

ব্যাখ্যা:
দ্বীনি জ্ঞানার্জন শুধু ইবাদত নয়, এটি জান্নাতের পথে সহায়ক। এটি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম উপায়।


---

২. হাদীস:


"فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ"
— أبو داود: 3641, الترمذي: 2683

বাংলা অনুবাদ:
“একজন আলেমের মর্যাদা একজন ইবাদতকারীর উপর এমন, যেমন পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা অন্যান্য তারকার উপর।”

ব্যাখ্যা:
আলেমের জ্ঞান সমাজকে আলো দেয়, যেমন চাঁদের আলো অন্ধকার দূর করে। তার ইলমের প্রভাব অনেক বেশি কার্যকর।


---

৩. হাদীস:


"مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ"
— صحيح البخاري: 71, مسلم: 1037

বাংলা অনুবাদ:
“আল্লাহ যার মঙ্গল কামনা করেন, তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।”

ব্যাখ্যা:
জ্ঞান লাভ হওয়া আল্লাহর একটি নেয়ামত। এটি প্রকৃত সৌভাগ্যের চিহ্ন।


---

৪. হাদীস:

"إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الْحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ"
— الترمذي: 2685 (حسن صحيح)

বাংলা অনুবাদ:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, আসমান-জমিনের সকল সৃষ্টি, এমনকি পিঁপড়া ও সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত, মানুষের মধ্যে কল্যাণ শিক্ষা দানকারী ব্যক্তির জন্য দোয়া করে।”

ব্যাখ্যা:
একজন আলেম যিনি মানুষকে দ্বীনের শিক্ষা দেন, তাঁর জন্য সৃষ্টি জগৎ দোয়া করে — এটি তাঁর মর্যাদার বিশাল প্রমাণ।


---

৫. হাদীস:


"إِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ، إِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، إِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ، فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ"
— أبو داود: 3641, الترمذي: 2682

বাংলা অনুবাদ:
“আলেমগণ নবীদের উত্তরসূরি। নবীগণ দিরহাম বা দিনার (ধনসম্পদ) রেখে যাননি, বরং রেখে গেছেন ইলম। যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করলো, সে বিশাল সম্পদ লাভ করলো।”

ব্যাখ্যা:
আলেমগণ নবীদের ইলমের ধারক ও বাহক। তাঁদের ভূমিকা নবুয়তের উত্তরাধিকার রক্ষার কাজের সমতুল্য।

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

রোজা থেকে হস্তমৈথুন করার হুকুম

রোজা থেকে কী হস্তমৈথুন করা যাবে?



রোজা থেকে বা রোজা না থেকে অর্থাৎ কোনো সময়ের জন্যই হস্তমৈথুন করা জায়েজ নয়। 
রোজা থেকে কেউ যদি হস্তমৈথুন করে তবে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে তাকে তার ঐ রোজা ভঙ্গের জন্য কাযা আদায় করতে হবে। 

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

আলেমের মর্যাদা নিয়ে হাদিস - এআরএইচ

১. হাদীস: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ ...