বিবস্ত্র হয়ে গোসল করার হুকুম।
আখেরি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পূর্বে যে সকল নবির উম্মাত ছিল তাদের জন্য বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা যায়েজ ছিল এবং তারা বিবস্ত্র হয়েই গোসল করতেন। কারণ তখন দ্বিন ইসলাম পরিপূর্ণ ছিল না। এর পর আল্লাহ ঘোষণা করলেন -
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম (ইসলাম) পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসাবে মনোনীত করলাম। [ মায়েদা -৩ ]
যদি অন্য কারো দেখার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বাথরুমে বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করা জায়েজ। তবে প্রয়োজন ছাড়া বাথরুমে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা উচিত নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং তা পরিহার করা উচিত। এক হাদিসে এসেছে, মুয়াবিয়া বিন হাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে তোমার লজ্জাস্থান সর্বদা হেফাজত করো (অর্থাৎ ঢেকে রাখো)। ’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! যদি কোনো ব্যক্তি কোথাও একাকী থাকে! (তখনো কি তা ঢেকে রাখতে হবে?)। ’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, কেননা আল্লাহকে অধিক লজ্জা করা উচিত। ’ (তিরমিজি - ২৭৬৯)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।