ধূমপানের উপকারিতা।
প্রত্যেক বস্তুরই ভাল মন্দ দুটি বিষয় আছে। নিউটনের ৩য় সূত্রের মত "When one body exerts a force on a second body, the second body simultaneously exerts a force equal in magnitude and opposite in direction on the first body.
"প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে"।
ধূমপান করলে যেমন অপকার হয় তেমনি উপকারও হয়।
এ বিষয়ে অন্যতম মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষক, আধ্যাত্মিক মহাসাধক, কুতুব-উল-আকতাব অধ্যাপক (অব) আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আযহারুল ইসলাম সিদ্দিকী সাহেব (রঃ)
বি.এ. (অনার্স) এম.এ, এফ.এম, এলএলবি (ঢাবি) পীর সাহেব মানিকগঞ্জ। তার লিখিত "ধূম পিপাসা সর্বনাশা" কিতাবে লিখেন "যে কোনো জিনিসের ভাল মন্দ দুটো দিক আছে। ধূমপানেরও উপকারিতা আছে। নিয়মিত ধূমপান করলে শেষ রাত্রিতে চোরের উপদ্রব থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায়। ধূমপানের ফলে কফ, কাশ দোস্ত হয় এবং রাতের বেলা কাশতে কাশতে জেগে থাকতে হয়। তাছাড়া চোখ, মুখ ঠেলার চোটে মুখমণ্ডলর ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং চোখ ঠিকরে বেরিয়ে যায় কাশতে কাশতে। চোরেরা আড়াল থেকে এই চেহারা দেখে ভয়ে পালায় বরং চুরির সময় সুযোগই বড় পায়না। সুতরাং বিড়ি সিগারেট ভয়ঙ্কর দারোয়ানের কাজ করে বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে ধূমপায়ী অতি জীর্ণ হয়ে যায়। দেহে আর কিছু থাকে না, যা থাকে তা শুধু কাশি, খিটখিটে মেজাজ আর তিরিক্ষে স্বভাব দিয়ে বাড়ির সকলের সঙ্গে ক্যার ক্যারানি"।