মিলাদ কিয়ামের বাহাসে মানিকগঞ্জের কওমি আলেমদের পলায়ন।
মিলাদ কিয়ামের বাহাসের কথা বলে উপস্থিত হয়েও বাহাস ছেড়ে সব কওমি আলেম পালিয়েছে।
ফিরে দেখা
মানিকগঞ্জ একটি শান্তিপ্রিয় এলাকা। মানিকগঞ্জের মানুষ শান্তি চায়। এটি সর্বজনবিদিত। সেই মানিকগঞ্জকে অশান্ত করার জন্য এক শ্রেণির লোকেরা উঠে পরে লেগেছে।
২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকেই মিলাদ ও কিয়াম নিয়ে বিতর্ক চলছিল মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার সুন্নী ও ওহাবি আলেমদের মাঝে। সুন্নি আলেমগণ বার বার বসার কথা বললেও কওমির আলেমরা বসতে অপারগতার কথা জানায় শেষমেষ তারা প্রশাসনের দারস্থ হয়। প্রশাসনকে হাত করে তারা সুন্নিদের বেকায়দায় ফেলে সাধারণ মানুষকে তারা বোকা বানাতে চেয়েছিল কিন্তু মানিকগঞ্জের নবী প্রেমিক আশেকে রসুল সুন্নি জনতা তাদের সেই পাতা ফাঁদে পা দেয় নাই। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখ তারা(কওমি আলেমরা) ঘোষণা করে সুন্নি আলেমদের সাথে তারা বাহাস (বিতর্ক) করবে। সুন্নি আলেমরা তা সাথে সাথে মেনে নেয় কারণ সুন্নি আলেমদের প্রতি আল্লাহ, আল্লাহর রাসূলের নেক নজর রয়েছে। তাদের সাথে বেয়াদবি আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল পছন্দ করে না। তাই তাদের কোন ভয় নাই তাদের কোনো চিন্তাও নাই আল্লাহ তাদের সাথে (ইলমান কুদরাতান) আছেন। আল্লাহর হাবিবের নেক নজর তাদের সাথে আছেন।
বাহাসের সময় নির্ধারণ ছিল মাগরিবের পর। মাগরিবের নামাজের পর সবাই বাহাস স্থলে আসবে এমনটাই কথা ছিল কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মাগরিবের নামাজের পর বাহাসের স্থানে সুন্নি আলেমরা উপস্থিত হলেও কওমি আলেমরা উপস্থিত হয় নাই। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান মাগরিবের নামাজের পর পাশেই একটি মসজিদে কওমি আলেমরা জড়ো হোন তাদের কিতাবাদি নিয়ে সেখানে কওমিদের বড় বড় আলেম সহ আশেপাশের সহ দূরদূরান্তের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক আরও কিতাবাদি নিয়ে জড়ো হোন।
এদিকে সুন্নি আলেমগণ যথাসময়ে বাহাস স্থলে উপস্থিত হোন। সেখানে শতশত মানুষ উপস্থিত হোন। সুন্নি আলেমগণ অপেক্ষা করতে থাকেন ওহাবিরা হয়ত আসবে কিন্তু তাদের জানা ছিল না ওহাবীরা এসেও হেরে যাওয়ার ভয়ে পালিয়ে যাবে। সুন্নি আলেমগণ ইশা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সাধারণ আলোচনা করতে থাকেন এবং এই আলোচনা পর্যায় ক্রমে রাত ১১.৩০ মিনিট পর্যন্ত চললেও কওমি আলেমরা বাহাসের জন্য আসেননি। তারা পাশের মসজিদ পর্যন্ত এসে পালিয়ে চলে গেছে। শুধু পালিয়েই যায় নাই তাদের সাথে আনা কিতাবাদিও রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে সুন্নি আলেমগণ আলোচনা শেষে মিলাদে কিয়াম করে মোনাজাত করে সুন্নিদের জয় ও মিলাদ কিয়ামের বিজয় ঘোষণা করেন বিচারক। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সকলেই তা মেনে নিয়ে কওমি আলেমদের এলাকায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।