মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

এসকর্ট সার্ভিস কী? -এআরএইচ

এসকর্ট কী?

যৌনতা বা যৌনকর্মী এই শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত। এই শব্দ শুনলেই আমরা নিচু শ্রেণির কিছু খারাপ লোক বুঝি। কিন্তু বর্তমানে এই বাংলার কিছু ইংরেজি প্রতিশব্দ ব্যবহার করছে। আর এই শব্দ ব্যবহার করছে সমাজের উচু শ্রেণির মানুষ। এসকর্ট ইংরেজি শব্দ। যার অর্থ সহচর। সাম্প্রতিক সময়ে এই এসকর্ট সার্ভিস এর নামে ঢাকা শহরের ভিভিন্ন এলাকাতে জমে ওঠেছে রমরমা দেহ ব্যবসা,আর এই ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন অনেক নামী তারকারা। শুধু এরাই নয় এর সাথে জড়িত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষিত তরুনী। যারা বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে খদ্দের জোগাড় করে। এদের চাহিদাও প্রচুর। সাধারণত তারা ধনীদের দিকেই নজর দেয় আর এদের টাকার চাহিদাও প্রচুর। এক রাতে কারো সাথে থাকলে গুণতে হয় ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। যেহেতু এটা উচ্চ শ্রেণীর লোকজন বেশি করে তাই সাধারণ লোকজন কম জানতে পারে।

এসকর্ট সার্ভিসে শুরু মেয়েরাই নয় এই দেহব্যবসার সাথে জড়িত পুরুষরাও। এদের বয়স সাধারণত ২৫ থেকে ৩৫ হয়। এটা দেখতে সুদর্শন। এরা ব্যবসায়ী উচ্চ বিলাসী নারীদের বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের ফ্ল্যাটে চলে যায় রাত শেষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে আসে। এরা বেশিরভাগ ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট করে মেয়েদের আকর্ষণ করে নানা পোষ্টর মাধ্যমে এরপর যোগাযোগ হয় হুয়াটর্সআপে। পরে নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করতে বলা হয় এবং সেখান থেকেই রাত্রি যাপনের জায়গায়। একসময় নিছক টাকার জন্য করা হলেও এখন অনেক বিলাসীতার জন্য এসব অন্ধকার রাস্তায় চলাফেরা করে। সাম্প্রতিক সময়ে এসকর্ট সদস্য পুলিশের হাতে ধরা পরায় এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রঃ অনলাইন 

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯

স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া বা চুলকানি হলে কী করবেন? - এআরএইচ

স্ক্যাবিস বা খোসর্পাঁচড়া বা চুলকানি হলে কী করবেন? 
প্রথমেই জেনে নেই স্ক্যাবিস কী? স্ক্যাবিস হলো একপ্রকার চর্মজনিত রোগ। যা একটি জীবাণু আক্রমণ করে। জীবাণুটির নাম Sarcoptes scabei ‍।  এই জীবাণু মানুষের শরীরে আক্রমণ করলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হয় এবং র‌্যাশ উঠতে দেখা যায়।

স্ক্যাবিস এর লক্ষণ: 
স্ক্যাবিস এর প্রধান লক্ষণ চুলকানি ।সাধারণত হাতের আঙ্গুলের ফাকে, বগলে, ত্বকের ভাঁজে, পায়ে আবার অনেকের পেনিসেও হয়। এই চুলকানি সাধারণত দিনে কম থাকে এবং রাতের বেলা প্রচুর চুলকায়। স্ক্যাবিসের আরেকটি লক্ষণ চুলকালে মজা লাগে। চুলকানির সাথে সাথে শরীরে র‌্যাশ দেখা যায়।

চিকিৎসা: 
স্ক্যাবিসের চিকিৎসা দুইভাবে করা যায় 
১.ঘরোয়া ভাবে।
২.এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করে।

১. ঘরোয়া ভাবে।
স্ক্যাবিসের জন্য দারুণভাবে কাজ করে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ।
স্ক্যাবিস হলে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে শরীরে মাখতে হবে  এবং পরে গোসল করতে হবে। এছাড়ও নিমপাতা বেটে সেগুলো গোলকরে রোদ্রে শুকিয়ে প্রতিদিন খেলেও বেশ উপকার পাওয়া যায় এবং নিয়মিত করলে কয়েকদিনের মধ্যেই স্ক্যাবিস শেষ হয়ে যায়।

২. এলোপ্যাথিক :
এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করেও স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মারমিথ্রিন বিপি ৫% এবং ক্রোটামিন বিপি ১০% লোশন ব্যাবহার করতে হবে। যার বাজার নাম ইলিমেট প্লাস লোশন। এটি রাতে ব্যবহার করতে হবে। 

ব্যবহারের নিয়ম: যেহেতু স্ক্যাবিস ছোয়াছে রোগ তাই এটি পরিবারে সকলের ব্যবহার করা উচিত। যাতে করে ভবিষতে আর ফিরে না আসতে পারে । ইলিমেট প্লাস লোশন রাতে এবং সারা শরীরে ব্যবহার করতে হবে। শুধুমাত্র মাথা ও মুখমন্ডল ছাড়া গলা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত এটি মাখতে হবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ব্যবহারেব পর পানি দিয়ে ধুয়ে না যায় । ব্যবহারের পর ১০-১২ ঘন্টা পর গোসল করতে হবে। বেশি হলে ৭ দিন পর আবার  একই নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। 

আর ব্যবহৃত সকল পোশাক , বিছানার চাদর ইত্যাদি কমপক্ষে ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ধুতে হবে।

এছাড়াও ঔষধ হিসেবে এলাট্রল ১০ এমজি বা ফেক্স ১২০ এমজি গ্রহণ করা যেতে পারে । তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে গ্রহণ করা উচিত।

স্ক্যাবিস প্রতিরোধের উপায়: সাধারণ নোংরা পরিবেশে থাকলে এটি বেশি হয়। তাই পরিষ্কার পরিবেশে এবং নিজে সব সময় পরিচ্ছন্ন থাকলেই এটি এড়ানো সম্ভব।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানি পান করা ক্ষতিকর দিক। -এআরএইচ

প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ক্ষতিকর দিক। 

প্রচন্ড গরমে বা গরমে শরীরে অনেক ঘাম হয় ফলে সহজেই পানি পিপাসা লাগে সাথে ক্লান্তি তাই এসময় চাই সুপেয় পানি। আর যদি সেই পানি হয় ঠান্ডা তাহলে তো আর কথাই নেই, যেন সোনায় সোহাগা। কিন্তু আপনি কী জানেন যে আপনার এই ঠান্ডা পানি পান করার কারণে শরীরের কী কী সব মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে? আসুন জেনে নেই সমস্যা গুলো।

হার্ট এর সমস্যাঃ ঠান্ডা পানি পানের কারণে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় হার্টের। গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের শিরা উপশিরা সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন করতে হার্টের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এই বাড়তি চাপ হার্টের জন্য একেবারেই ভালো না। সাথে সাথেই কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে জটিল হৃদরোগ দেখা দিতে পারে।

জ্বর হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে: আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের রক্ত হঠাৎ করেই শীতল হয়ে যায়। ফলে শরীরে ভেতরের অংশে হঠাৎ করেই অনাহুত অস্বস্তি দেখা দেয়। এধরনের অস্বস্তি জ্বরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।

শরীরে পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণ হয় না: ঠাণ্ডা পানিতে ত্ষ্ণা মেটে চট করে, তৃপ্তি চলে আসে তাড়াতাড়ি। ফলে শরীর মনে করে তার আর পানি পানের প্রয়োজন নেই।ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। এ ঘাটতি থেকে পানিশূন্যতা তৈরি হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

টনসিলের সমস্যা হতে পারেঃ ঠান্ডা পানিতে সহজে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে ফলে টনসিল ফুলে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।

খনিজের অনুপস্থিতিঃ সাধারণ পানি স্বাভাবিক অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদানে পূর্ণ থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। কিন্তু পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে এসব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। তখন শরীরের জন্য এরা আর কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে পানি থেকে শরীরের যে খনিজের চাহিদা পূরণ হয় সেটা অপূর্ণই থেকে যায়।

ঠান্ডা পানিতে হজমের সমস্যা হয়ঃ ঠান্ডা পানি পান করার ফলে পাকস্থলী খাবার হজমের চাইতে ঠান্ডা পানিকে শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পাকস্থলীর যে মূল দায়িত্ব সেই খাবার হজমের প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ে, হজমে সমস্যা দেখা দেয়।

শরীরের শক্তি ক্ষয় করেঃ আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যেহেতু স্বাভাবিক মাত্রায় ৯৮.৬  ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাই ঠান্ডা পানি যখন পাকস্থলীতে জমা হয় তখন পাকস্থলী তা শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসে।ফলে শরীরের অহেতুক শক্তি খরচ হয়।

ব্যায়ামের পরে ঠান্ডা পানি ক্ষতিকরঃ ব্যায়ামের পরে কক্ষতাপমাত্রা বা তার চেয়ে গরম পানি খাওয়া ভাল। কারণ ঠান্ডা পানি খেলে তা শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। ফলে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হয় না।

দাঁতের ক্ষতি হয়: ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে মারাত্মক ভাবে।গরম থেকে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসা মাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়। ফলে এনামেলে ফাটল ধরে। এছাড়া মাড়ি ক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণও ঠান্ডা পানি।

গর্ভপাতের সম্ভাবনাঃ গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠান্ডা পানি পান করার ফলে জরায়ুর সঙ্কোচন হয়। গর্ভাবস্থায় এধরনের সঙ্কোচন গর্ভপাতের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

বুধবার, ২২ মে, ২০১৯

বৈদ্যুতিক শক লাগলে যা যা করণীয়। - এআরএইচ

বৈদ্যুতিক শক বা ইলেকট্রিক শক লাগলে আমাদের করণীয়।

বৈদ্যুতিক শক বা ইলেকট্রিক শক বলতে শরীরের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট অণুভুতিকে বুঝায় । শরীরের ভিতর দিয়ে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেই কেবল শক লাগে । অতি অল্প পরিমাণ প্রবাহ কোন অনুভূতি সৃষ্টি না করতে পারলেও বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে । ইলেকট্রিক শক লাগার জন্য সর্বনিম্ন যে বিদ্যুৎ প্রবাহ প্রয়োজন তা নির্ভর করে বিদ্যুতের ধরন এবং কম্পাঙ্কের উপর । শরীরের ভিতর দিয়ে 6০/50 হার্জ কম্পাঙ্কের AC বিদ্যুৎ প্রবাহ ১ মিলিএম্পিয়ার (RMS) হলেই একজন ব্যক্তি তা অনুভব করতে পারেন, কিন্তু DC হলে কমপক্ষে ৫ মিলিএম্পিয়ার লাগে অনুভূতি সৃষ্টি করতে । বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে দেহের রোধের জন্য তাপ উৎপন্ন হয় । এই তাপ দেহের বাইরের বা ভিতরের অংশ পুড়ে ফেলতে সক্ষম । ৪ এম্পিয়ারের বেশি প্রবাহ টিস্যু পুড়ে ফেলে, হৃৎপিণ্ড বন্ধ হয়ে যায় এবং মৃত্যু হতে পারে ।




কারো বৈদ্যুতিক শক লাগলে বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের করণীয়গুলো কি? চলুন সংক্ষেপে তা জেনে নিই-

কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে করণীয়ঃ 
  1. বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির গায়ে হাত দেওয়া যাবে না।
  2. বৈদ্যুতিক সুইচ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে।
  3. সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে শুকনো খবরের কাগজ, উলের কাপড়, শুকনো কাঠের টুকরা অথবা রাবার দিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে ধাক্কা দিয়ে আলাদা করতে হবে।
  4. ধাক্কা দেওয়া এবং সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে দ্রুত বৈদ্যুতিক অফিসে খবর দিতে হবে।
  5. বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির গায়ে কখনোই পানি দেওয়া যাবে না
  6. বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির গলা, বুক ও কোমরের কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে।
  7. আহিত ব্যক্তিকে খালি গায়ে মাটিতে শুয়ে দিতে হবে যাতে করে শরীরে যতটুকু বিদ্যুৎ আছে তা মাটিতে চলে যেতে পারে। 
  8. বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির হৃদপিণ্ডের সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে মনে হলে দ্রুত তার বুকের ওপর জোরে জোরে চাপ দিতে হবে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে সিপিআর (CPR)। 
  9. বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্ততপক্ষে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব না হয় ততক্ষণ এটা করতে হবে।
  10. রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

বিবস্ত্র হয়ে গোসল করার হুকুম। - এআরএইচ

বিবস্ত্র হয়ে গোসল করার হুকুম।

আখেরি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পূর্বে যে সকল নবির উম্মাত ছিল তাদের জন্য বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা যায়েজ ছিল এবং তারা বিবস্ত্র হয়েই গোসল করতেন। কারণ তখন দ্বিন ইসলাম পরিপূর্ণ ছিল না। এর পর আল্লাহ ঘোষণা করলেন -
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا 
আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম (ইসলাম) পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসাবে মনোনীত করলাম। [ মায়েদা -৩ ]

যদি অন্য কারো দেখার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বাথরুমে বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করা জায়েজ। তবে প্রয়োজন ছাড়া বাথরুমে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা উচিত নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং তা পরিহার করা উচিত। এক হাদিসে এসেছে, মুয়াবিয়া বিন হাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে তোমার লজ্জাস্থান সর্বদা হেফাজত করো (অর্থাৎ ঢেকে রাখো)। ’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! যদি কোনো ব্যক্তি কোথাও একাকী থাকে! (তখনো কি তা ঢেকে রাখতে হবে?)। ’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, কেননা আল্লাহকে অধিক লজ্জা করা উচিত। ’ (তিরমিজি - ২৭৬৯)

শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯

মুদারাবা কী এবং মুদারাবা ব্যবসা কিভাবে পরিচালিত হয়? - এআরএইচ

মুদারাবা কী এবং শরিয়াহ বোর্ড পরিচালিত ব্যাংকে মুদারাবা একাউন্ট কী এবং কিভাবে পরিচালিত হয়? 

হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করা সুন্নাত। অর্থ উপার্জনের উত্তম পন্থা হচ্ছে তিজারত বা ব্যবসা। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা নয় জায়গায় ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। আর আল্লাহর নাবি (সাঃ) বলেছেন - রুজির দশ ভাগের নয় ভাগই রয়েছে ব্যবসায়। এ ব্যবসায় নানাবিধ পদ্ধতি রয়েছে যার মধ্যে মুদারাবা অন্যতম।

সাধারণত মুদারাবা বলতে আমরা বুঝি লেনদেন করা, উপার্জন করা, প্রচেষ্টা চালানো, লাভবান হওয়া, বিনিয়োগ করা ইত্যাদি। ইংরেজিতে বলা হয় Travel for business, to earn profit ইত্যাদি। 

মুদারাবা বলা হয় এমন চুক্তি, যাতে দু' শরীকের একজন মূলধন দিয়ে এবং অপরজন শ্রম দিয়ে উভয়ে লভ্যাংশের অংশীদার হয়।
ইসলামী অর্থনীতির ভাষায় - মুদারাবা এমন একটি অংশীদারি কারবার, যেখানে উদ্যোক্তা প্রয়োজনীয় মূলধন বিনিয়োগ করে। একপক্ষের মূলধনের সঙ্গে অপরপক্ষের ব্যবসায়িক দক্ষতা যুক্ত হলে একে মুদারাবা বলে।
বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন প্রণেতাগণের ভাষায়, একের মূলধন এবং অন্যের শ্রম দ্বারা ব্যবসায়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তিমূলে মুনাফায় যে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, তাকে মুদারাবা বলে।

মুদারাবা কে দুইভাগে ভাগ করা যায়
ক. সাধারণ বিনিয়োগঃ পুঁজি বিনিয়োগকারী যদি কারবারিকে যে কোনো ধরনের ব্যবসা করার স্বাধীনতা প্রদান করে, তাহলে মুদারিব তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে। অর্থাৎ ব্যবসায়ের সময়সীমা, স্থান, শ্রেণী, অংশীদারগণের সংখ্যা, কার কাছ থেকে মাল কিনতে হবে, কার কাছে বিক্রি করতে হবে তা নির্দিষ্ট না থাকা। এ ধরনের মুদারাবাকে সাধারণ বিনিয়োগ বলে।

খ. নির্দিষ্ট বিনিয়োগঃ রাব্বুল মাল কারবারিকে বিশেষ ধরনের ব্যবসায় করা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে মুদারিববকে শুধু রাব্বুল মালের নির্দেশিত ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এ ধরনের মুদারাবাকে নির্দিষ্ট বিনিয়োগ বলে।

মুদারাবা বিশুদ্ধ হওয়ার কিছু শর্তাবলী আছে। যেমনঃ
  1. রাব্বুল মাল ও মুদারিবব উভয়ে বিবেকবান হওয়া।
  2. কারবার শুধু করার পুর্বেই উভয়পক্ষের প্রকৃত ললভ্যাংশ বন্টনের হার নির্ধারণ করা।
  3. কোনো পক্ষের মুনাফা মূলধনের কোনো আনুপাতিক অংশের সাথে নির্দিষ্ট না করা।
  4. একাধিক ব্যক্তির সাথে মুদারাবা চুক্তি হলে প্রত্যেক মুদারিব পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে মূলধন ব্যবহার করা।
  5. সাধারণ ব্যবসায় যে সকল কাজ হয়ে থাকে, মুদারিব রাব্বুল মালের সুস্পষ্ট অনুমতি ছাড়া তার ব্যতিক্রম না করা।
  6. কোনো পক্ষের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভভ ধার্য না করা।
  7. মুনাফার সিদ্ধান্তকৃত আনুপাতিক অংশ ব্যতীত মুদারিব মুদারাবার জন্য কৃত স্বীয় কাজের বিনিময়ে কোনো ভাতা বা বিনিময় দাবি না করা।
  8. দু পক্ষের কারো জন্য অতিরিক্ত প্রদানের শর্ত না থাকা।
  9. মুদারাবার চুক্তিতে বাধা সৃষ্টিকারী কোনো বস্তু না থাকা।
  10. চুক্তি এমন দীর্ঘমেয়াদী না করা, যাতে উভয়পক্ষের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।


মুদরাবার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমনঃ
  1. মুদারাবা একটি দ্বীপক্ষীয় কারবার। এ কার্যক্রমে সরকার হস্তক্ষেপ করেন না। তবে প্রয়োজনে পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।
  2. মুদারাবা কারবারে মূলধন সরবরাহকারীকে সহিবে মাল এবং সংগঠন পরিচালনাকারী অপরপক্ষকে মুদারিব বলে।
  3. সহিবে মাল এর প্রদানকৃত মূলধন নগদ অর্থ তথা মুদ্রাজাতীয় জিনিস হবে।
  4. বিনিয়োগ কার্যক্রমের লাভ পূর্ব নির্দিষ্ট অনুপাতে মুদারিব এবং সহিবে মাল এর মাঝে বন্টন হবে। তবে সহিবে মালের প্রাপ্য লাভভ পূর্ব নির্ধারিত কোনো টাকার অঙ্ক হবে না।
  5. কোনো কারণে বিনিয়োগ কার্যক্রমে লোকসান হলে এর দায়ভার সহিবে মাল বহন করবেন। মুদারিব এর অদক্ষতা বা অবহেলার দরুন লোকসান হলে সে দায়ী থাকবে না। 


বিচিত্র এ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই বিত্তবান নয়। আবার প্রত্যেকেই বিত্তহীন নয়। আবার কারো অর্থ থাকলেও তার থাকে না কারবার করা কিংবা কায়িক প্ররিশ্রম করার যোগ্যতা। অন্যদিকে কারো দৈহিক সক্ষমতা এবং ব্যবসায়িক কৌশল রপ্ত থাকলেও তা প্রয়োগের জন্য থাকে না প্রয়োজনীয় অর্থ। এজন্য প্রয়োজন উভয়ের সমন্বয়। সেজন্যই মুদারাবায় রাব্বুল মালের পক্ষ হতে থাকে মূলধন আর মুদারিবের থাকে কারবার। উভয়ের সমন্বয়ে গড়ে উঠে সুন্দর আগামী নির্মল ভবিষ্যৎ। মানবজীবনের প্রয়োজনের তাগিদেই এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় দাড়িয়ে প্রস্রাব করার ক্ষতিকর দিক। -এআরএইচ

দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করাকে ক্ষতিকর বলা হচ্ছে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যেসব মারাত্মক ক্ষতি হয় আসুন তা জেনে নেই।

(১) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপর কোনে চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু বের হতে পারেনা। বরং তা উপর দিকে উঠে যায়। ফলে অস্থিরতা বাড়ে, রক্ত চাপ বাড়ে, হৃদযন্ত্রে স্পন্দন বাড়ে, খাদ্যনালী দিয়ে বার বার হিক্কা আসতে থাকে।

(২) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো থলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলিতে চাপ লাগে ফলে সহজেই ওসব দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।

(৩) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কিডনিতে অতি সহজে পাথর সৃ্ষ্টি হয়।

(৪) দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ কমতে থাকে।

(৫) যারা নিয়মিত দাড়িয়ে প্রস্রাব করেন তাদের অবশ্যই শেষ জীবনে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনী রোগ হবেই।

(৬) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পরিবেশ দূষিত হয়। সেই দূষিত বায়ু আমাদের দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে।

(৭) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে তার ছিটা দেহে ও কাপড়ে লাগে ফলে তা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।

রবিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৯

পাকস্থলী বা অন্ত্র নিজে হজম হয় না কেন? -এআরএইচ

পাকস্থলী বা অন্ত্র নিজে হজম হয় না কেন? 
Why the stomach or intestine itself is not being digested?

পাকস্থলী এবং অগ্নাশয়ের অসংখ্য সোনালি গ্রন্থি প্রোটিয়েজ (protease - আমিষ খাদ্য হজমের এনজাইমকে প্রোটিয়েজ বলে। যেমনঃ পেপসিন, ট্রিপসিন এক একটি প্রোটিয়েজ) এনজাইম তৈরি করে। প্রোটিয়েজ দ্বারা পাকস্থলী বা অন্ত্রের লুমেনে আমিষ পরিপাক হলেও এ সকল প্রোটিয়েজ সৃষ্টিকারী গ্রন্থিকোষগুলো প্রোটিন দ্বারা গঠিত হওয়া সত্ত্বেও কয়েকটি কারণে নিজেরা পরিপাক হয় না।
প্রথমতঃ প্রোটিয়েজ গুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ক্ষারিত হয়। যেমনঃ পাকস্থলী প্রাচীরের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে পেপসিন নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেন হিসেবে ক্ষারিত হয় এবং HCl এসিডের সংস্পর্শে না আসা পর্যন্ত সক্রিয় হয় না। একইভাবে অগ্নাশয়ের পরিপাক গ্রন্থি, নিষ্ক্রিয় অবস্থায় এই ট্রিপসিনোজেন হিসেবে ক্ষরিত হয়ে ড্যুওডেনাম প্রাচীর এন্টারোকাইনেজ এনজাইম দ্বারা সক্রিয় হয়। ফলে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় এই এনজাইমগুলো পাকস্থলী বা অন্ত্র প্রাচীরকে হজম করতে পারে না। পাকস্থলী প্রতি মিনিটে প্রায় পাঁচ লক্ষ কোষ মোচন করে এবং প্রতি তিন দিনে সম্পূর্ণভাবে নবায়িত হয়।
দ্বিতীয়তঃ পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রাচীরের কিছু কোষ ও লালাগ্রন্থি মিউকাস উৎপন্ন করে। মিউসিন নামক একটি প্রোটিন মিউকাসের প্রধান উপাদান। পাকস্থলী ও অন্ত্র প্রাচীরের ভিতরের গাত্র সব সময় মিউকাসের গাঢ় আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। মিউকাসের খ আবরণের জন্যই আমিষ হজমকারী এনজাইমসমূহ পাকস্থলী বা অন্ত্র প্রাচীর কোষের সংস্পর্শে আসতে পারে না বলে এরা এই সকল অঙ্গের কোনো  ক্ষতিও করতে পারে না।
তৃতীয়তঃ কোষে কোন এন্টিএনজাইম থাকার সম্ভাবনা আছে যার জন্য এনজাইমগুলো পাকস্থলী বা অন্ত্র প্রাচীরে অবস্থিত সজীব কোষের উপর ক্রিয়া করতে পারে না।
চতুর্থতঃ পাকস্থলী কোষ প্রোস্ট্রাগ্লান্ডিনের উচ্চ মাত্রা ধারণ করে যা পাকস্থলী দ্বারা সৃষ্ট এসিড - নিউ্রেলাইজিং কার্বোহাইড্রেট এর সাথে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করা হয়।
কখনো কখনো গ্যাস্ট্রিক মিউকোসার এই সংরক্ষণ মূলক মিউকাস আবরণ পেপসিন এনজাইম এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিডের কার্যকারিতায় কোথাও কোথাও নষ্ট হয়ে যায়। এর সাথে Helicobacter pylori  নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে মাএই ব্যাকটেরিয়া যে টক্সিন ক্ষরণ করে তা পাকস্র অন্তর্গাত্রে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই প্রদাহই হলো আলসার বা ক্ষত সৃষ্টি করে। এই ধরনের আলসার বা ক্ষতকে পেপটিক আলসার বলে। আলসার পাকস্থলীতে হলে গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ড্যুওডেনামে হলে ড্যুওডেনাল আলসার বলা হয়।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

রোজা থেকে হস্তমৈথুন করার হুকুম

রোজা থেকে কী হস্তমৈথুন করা যাবে? রোজা থেকে বা রোজা না থেকে অর্থাৎ কোনো সময়ের জন্যই হস্তমৈথুন করা জায়েজ নয়।  রোজা থেকে কেউ যদি হস্তমৈথুন করে ...